পুলিশের সঙ্গে লাঠি হাতে এরা কারা?
নিরাপদ সড়কের দাবিতে ঢাকাজুড়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মধ্যে মিরপুরে পুলিশের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ হয়েছে; একদল যুবককেও লাঠি হাতে শিক্ষার্থীদের ওপর চড়াও হতে দেখা গেছে।বিকাল ৪টা দিকে মিরপুর-১৩ ও ১৪ নম্বরের মধ্যে বিআরটিএ থেকে কাফরুল থানা হয়ে পাবলিক অডার্র ম্যানেজমেন্টের গেট পযর্ন্ত সড়কে এই ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া চলে। সংঘষের্র পর একাধিক শিক্ষার্থীকে সেখানে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখেছেন গণমাধ্যম কর্মীরা।আহত এক কলেজছাত্র বলেছেন, মিরপুর-১৪ নম্বর এলাকায় নিরাপদ সড়কের দাবিতে তাদের মানববন্ধন কমর্সূচি চলছিল। পুলিশ তাদের সরাতে গেলে শিক্ষার্থীরা ইট পাটকেল ছুড়তে শুরু করে।তখন পুলিশ লাঠিপেটা শুরু করলে পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ওই এলাকায় পুলিশের সঙ্গে বেশ কিছু সময় বিক্ষোভকারীদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া চলে। এ সময় পুলিশের সঙ্গে একদল যুবককেও লাঠি হাতে শিক্ষার্থীদের পেটাতে দেখা যায়।নাম প্রকাশ না করে এক শিক্ষার্থী বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন করছিলাম। পুলিশ হঠাৎ এসে আমাদের লাঠিপেটা শুরু করে। পরে তাদের সঙ্গে স্থানীয় যুবলীগও যোগ দিয়েছে।ঢাকা মহানগর পুলিশের পল্লবী জোনের সহকারী কমিশনার ইয়াসমীন সাইকা পাশা বলেন, শিক্ষার্থীরা কোনো কারণ ছাড়াই কাফরুল থানায় হামলার চেষ্টা করে। পাবলিক অডার্র ম্যানেজমেন্ট বিভাগের প্রধান ফটক ভেঙে ফেলার চেষ্টা করে। তারা পুলিশের দিকে ইটপাটকেল ছোড়ে।পরে পুলিশ তাদের ধাওয়া দিয়ে সরিয়ে দেয়। তখন তারা সরে ১০ নম্বর গোল চত্বরের দিকে যায়।সে সময় পুলিশের সঙ্গে লাঠি হাতে কারা ছিল- সে বিষয়ে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি পুলিশ কর্মকর্তাদের কাছ থেকে। এ বিষয়ে যুবলীগের কারও বক্তব্যও জানা যায়নি।এদিকে সায়েন্স ল্যাবরেটরি এলাকায় আন্দোলনের গতিপ্রকৃতি নিয়ে বাগবিতণ্ডা থেকে নিজেদের মধ্যে মারামারিতে আহত হয়েছে তিন শিক্ষার্থী।
বিকাল ৪টার আগে আগে ওই মারামারির পর স্কুল ইউনিফর্ম পরা তিন ছাত্রকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের দিকে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে তাদের নাম পরিচয় জানা যায়নি।বেলা আড়াইটার দিকে সায়েন্স ল্যাবরেটরি মোড়েই এক ট্রাফিক সাজের্ন্টকে মারধর করে তার মোটরসাইকেলে আগুন দেয় শিক্ষার্থীরা।এ নিয়ে উত্তেজনার মধ্যে বিকালে সায়েন্স ল্যাবরেটরি মোড়ের পুলিশ বক্সে তালা মেরে সেখান থেকে চলে যান ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা।-
collected by zoom bangla