কলকাতা কি নিষিদ্ধ যৌনতায় মজেছে?
‘ওয়াইফ সোয়াইপিং এখন বাস্তব ঘটনা।’— কয়েক বছর আগে এক ছবির সূত্রে বলেছিলেন অভিনেত্রী পাওলি দাম। ‘লভ গেমস’ নামে তাঁর একটি ছবির চিত্রনাট্য ছিল বউ বদল নিয়েই।
কিন্তু সত্যিই কি আপনার শহরেও প্রতিনিয়ত লেখা হচ্ছে বউ বদলের নয়া কাহিনি? কলকাতাও কি নিষিদ্ধ যৌনতায় মজেছে? কী বলছে সমীক্ষা?
চার বছর আগে নিয়েলসন দেশ জুড়ে একটি সেক্স সার্ভে করেছিল। তাঁদের দাবি ছিল, সমীক্ষায় উঠে আসা ভারতের ‘সেক্স সিক্রেট’ দেখলে চমকে যাবে গোটা দুনিয়া। আর সেখানেই ওয়াইফ সোয়াপিংয়ের মানদণ্ডে প্রথমে উঠে এসেছে আসানসোলের নাম।
ঠিকই পড়ছেন, কলকাতা থেকে সামান্য দূরত্বের এই আধা শহর বউ বদলকে প্রায় শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছে। ওষুধের দোকানের মালিক থেকে মাঝারি শিল্পপতি অনেকেই বেশ সাবলীল ভাবে কথাও বলেছিলেন এ নিয়ে। কেরালার কোট্টায়াম ছিল দ্বিতীয় স্থানে।
ফিল্মি দুনিয়াতেও কখনও কখনও ওয়াইফ সোয়াইপিং মূল বিষয় হয়েছে। ২০০৪-এ ‘ওয়াইফ সোয়াইপিং’ নামের একটি শো প্রথম টেলিকাস্ট হয় মার্কিন এবিসি চ্যানেলে। বছরে মাত্র এক বার মাস তিনেকের জন্য দেখানো হয় শো-টি। শুরু থেকেই তুমুল জনপ্রিয় শো-টির জন্য অপেক্ষায় থাকেন দর্শকরা। এ বছর এখনও টেলিকাস্ট হয়নি। আবার বলিউডে ‘আজনবি’ ছবিতে এক রাতের বউ বদলের ঘটনা নিশ্চয়ই মনে করতে পারবেন সিনে-পাঠক। বিশেষজ্ঞদের মতে, দর্শকরা যার সঙ্গে রিলেট করতে পারেন তার জনপ্রিয়তা বেড়ে যায়। ফলে ওয়াইফ সোয়াইপিং সত্যিই যে এখন বাস্তব ঘটনা তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
collected