Advertisement

Breaking News
Join This Site

Real Earn Money

সকালে পানির সঙ্গে যে মশলা মিশিয়ে খেলে ভুঁড়ি কমবে তরতরিয়ে

সকালে পানির সঙ্গে যে মশলা মিশিয়ে খেলে ভুঁড়ি কমবে তরতরিয়ে

 

শরীরের অতিরিক্ত ওজন ভালো নয়- এ কথা সবসময়ই বলে থাকেন চিকিৎসকরা। কারণ, ওজন বেশি হলে নানা অসুখ শরীরকে ঘিরে ধরে। তার মধ্যে রয়েছে উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস এবং কোলন ক্যানসারের মতো ভয়ানক রোগ। তাই যে করেই হোক, ওজন কমাতেই হবে

 

 তবে ওজন কমানো কোনো ছেলে ভোলানো খেলা নয়। তাই মুখের ভাষণে ওজন কমে না। বরং এই কাজে সাফল্য পেতে প্রয়োজন হয় কঠোর অধ্যবসায় ও অনুশাসন। এই দুইয়ের মেলবন্ধনেই ওজন কমে। এক্ষেত্রে অক্ষরে অক্ষরে ডায়েট ও শরীরচর্চার রুটিন মেনে চলতে হবে। তাহলেই ফল মিলবে।


কিন্তু অনেকের এত ধৈর্য নেই। তারা দ্রুত শরীরের বদল পরিলক্ষিত করতে চান। কিন্তু তেমন কোনো টোটকা হাতের সামনে খুঁজে পান না। তবে হতাশ হবেন না। আপনাদের জন্য হাতের পাঁচ হতে পারে জিরার পানি। প্রতিদিন এই পানি খেলে ওজন কমে দ্রুত গতিতে। এমনকি পেটের সমস্যাও দূর করে।

চলুন জেনে আসি কী কী উপকার করে জিরা ভেজানো পানি-



​বিপাকের হার বাড়ায়

জিরার পানি অত্যন্ত উপকারী এক পানীয়। এতে রয়েছে ভিটামিন, খনিজ ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের ভাণ্ডার। এমনকি এতে আছে এমন কিছু উপাদান যা দেহে বিপাকের গতিকে ত্বরান্বিত করে। ফলে শরীরে জমে থাকা অত্যধিক মেদ দ্রুত ঝরে যায়। বিপাকীয় নানা সমস্যা, যেমন- ডায়াবেটিস, প্রেশার ও কোলেস্টেরলের মতো একাধিক অসুখও নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। তাই সুস্থ থাকতে এই পানি নিয়মিত খান।

সারা শরীরের তুলনায় পেটের মেদ বেশি ক্ষতিকর। বিশেষজ্ঞদের কথায়, পেটের অন্দরে একাধিক অঙ্গ রয়েছে। এক্ষেত্রে ভুঁড়ি থাকলে পেটের ভেতরের এই অঙ্গগুলোর উপরও মেদের আস্তরণ পড়ে। এ কারণে অঙ্গগুলো ঠিকমতো কাজ করতে পারে না। এছাড়া ভুঁড়ির মারপ্যাঁচে দেহে হরমোনের ভারসাম্য পর্যন্ত বিগড়ে যায়। তাই পেটের মেদ কমানোর কোনো বিকল্প নেই। এ কাজে আপনাকে সাহায্য করতে পারে এক গ্লাস জিরার পানি।



কীভাবে বানাবেন?



জিরার পানির প্রস্তুতি কোনো রকেট সায়েন্স নয়। শিখিয়ে দিলে ছোট ছোট ছেলেমেয়েরাও খুব সহজে জিরার পানি বানিয়ে ফেলতে পারে। এক গ্লাস পানিতে এক চামচ জিরা সারারাত ভিজিয়ে রাখুন। সকালে উঠে সেই পানি ফুটিয়ে নিন। তারপর ছেঁকে পান করতে হবে। এটুকু করতে পারলেই দেখবেন অনায়াসে ওজন কমছে। তবে ভিজিয়ে রাখা জিরার পানি না ফুটিয়েও খেতে পারেন। এতেও উপকার মিলবে।



​খালি পেটে খাওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ​


জিরার পানি অত্যন্ত উপকারী। তাই দিনের যে কোনো সময়ই এই পানি পান করা যায়। তবে সারাদিনের মধ্যে সকালে খালি পেটে এই পানি খেলে সবথেকে বেশি উপকার মেলে। এতে থাকা উপকারী উপাদান দেহে দ্রুত গৃহীত হয়। এরপর তা শিগগিরই নিজের কাজ শুরু করে দিতে পারে। ফলে ওজন কমার সম্ভবনা কয়েকগুণ বাড়ে। এক্ষেত্রে পরপর ৩০ দিন সকালে উঠে জিরার পানি খেয়ে দেখুন, ফল পাবেন হাতেনাতে।



দিনে ৩০ মিনিট ব্যায়াম মাস্ট​

আপনাকে দিনে ৩০ মিনিট ব্যায়াম করতেই হবে। এক্ষেত্রে সবথেকে ভালো হয় জিমে গিয়ে ঘাম ঝরাতে পারলে। তবে সবার পক্ষে জিমে যাওয়া সম্ভব নয়। তারা বাড়িতে বা মাঠে ফ্রি হ্যান্ড এক্সারসাইজ করুন।



এছাড়া সাইকেল চালানো, জগিং, হাঁটা, সাঁতারের মতো এরোবিকস এক্সারসাইজ করলেও দ্রুত মেদ ঝরে যায়। তাই এই ধরনের ব্যায়াম নিয়মিত করতেই হবে। তাহলেই দেখবেন চর্বির খেলা হয়েছে শেষ! পাবেন মেদহীন ফিটফাট শরীর।